নতুন ভোটার হওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে বা ভোটার আইডি করতে কি কি লাগে

শিক্ষা বিডিঃ নতুন ভোটার হওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে এ বিষয়ে জানেন না অনেকে। আমরা জানি যখন প্রতি বছর ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য হালনাগাত করা হয় তখন সেই সময়ে ভোটার হতে হলে তেমন কোন ডকোমেন্ট বা কাগজপত্র প্রইয়োজন পড়ে না এর কারণ হলো সরকার থেকে কিছু লোক নিয়োগ দেয়া হয় যারা তথ্য হালনাগাত করে ফলে এখানে সরকারি লোকই একজন নতুন ভোটার ভেরিফাইয়ের কাজটি করে থাকেন। তবে এই সুযোগটা বছরে একবারই আসে এবং এটার সময়ও থাকে সীমিত। ১ থেকে ৩ মাস। অনেক সময় এক মাসের মধ্যেও এই কাজগুলো তারা শেষ করে ফেলেন।

এদিকে যারা ওই সময় ভোটার হতে পারেন না বিভিন্ন কারণে তারা কিভাবে ভোটার হবেন? সে বিষয়েই আজকের আলোচনা। আমরা প্রথমেই জানব নতুন ভোটার হওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র বা ডকোমেন্ট লাগে? সরকারি হালনাগাতের সময় তেমন ডকোমেন্ট না লাগলেও পরবর্তীতে উপজেলায় গিয়ে ভোটার হতে গেলে আমাদের লাগবে বেশ কিছু কাগজপত্র। তাহলে আসুন জেনে নিই কি কি লাগবে?

নতুন ভোটার নিবন্ধন বা নিতুন ভোটার হওয়ার জন্য যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন

  • প্রথমেই লাগবে একটি অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কার্ড।
  • একটি নাগিরিকত্ত্ব সনদ বা চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট।
  • পিতা ও মাতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি। (পিতা-মাতা জিবিত না থাকলে মৃত্যু সনদের কপি।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার কপি। (৫ম শ্রেণীর নীচে হলে এই ডকোমেন্ট লাগবে না)
  • ইউটিলিটি বিলের (পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ ) কপি। (নিজের অথবা নিজ পরিবারের যে কোন সদস্যের হওয়া জরুরী)
  • নিজ অবস্থানরত বাড়ির ট্যাক্স এর কপি।
  • রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের কপি।
  • বিবাহিত হলে কাজী কতৃক কাবিন নামা ও স্বামী/ স্ত্রীর ভোটার আইডি কার্ড।
  • পূর্বে ভোটার হয়নি মর্মে প্রত্যয়ন পত্র বা অঙ্গীকার নামা।
  • প্রবাসী হওয়ার কারণে ভোটার না হয়ে থাকলে পাসপোর্ট ও ভিসার কপি।
  • এছাড়াও নির্বাচন অফিসার যদি ক্ষেত্র বিশেষ আরো ডকোমেন্ট চায় তবে দিতে হবে।
উপরে আমরা যে কাগজপত্র বা ডকোমেন্ট নিয়ে আলোচনা করলা একজন মানুষকে ভোটার হওয়ার জণ্য এর বাইরে সাধাররণত আর কোন কাগজ লাগে না তবও কোন জটিলতার জন্য  অফিসার আরো ডকোমেন্ট চাইতে পারে, যদি চায় তাহলে সেগুলোও সংগ্রহ করতে হবে। এ বিষয়ে আমদের একটি ইউটিউভ ভিডিও রয়েছে চাইলে দেখে নিতে পারেন।

Video

২য় ধাপঃ
ভোটার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ডকোমেন্ট বা কাগজপত্র সংগ্রহের পরে আমাদেরকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদন ফ্রমে আবেদন কারীর স্বাক্ষর, শনাক্তকারীর স্বাক্ষর ও ভোটার আইডি নাম্বার, জনপ্রতিনিধির নাম স্বাক্ষর ও আইডি নাম্বার নিয়ে সকল ডকোমেন্ট একসাথে করে উপজেলা নির্বাচন কমিশনারের অফিসে জমা দিতে হবে। (উপরে দেয়া ভিডিওতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে কিভাবে কোথায় স্বাক্ষর, নাম ও আইডি লিখতে হবে)

৩য় ধাপঃ
অনলাইনে আবেদন করে উক্ত পিডিএফ ফ্রম এপিঠ-ওপিঠ প্রিন্ট দিয়ে এর সাথে সকল ডকোমেন্ট যুক্ত করে সেটি নিয়ে উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দিতে হবে। এরপর তারা এটি যাচাইবাছাই করে আবেদনকারীর ফোনে একটি মেসেস পাঠাবে। সেই মেসেস দেখিয়ে আবার ছবি ও ফিংগারিং দিতে হবে। (এই প্রসেসটি ১ দিনে হতে পারে অথবা ২ ভাগেও হতে পারে) অনলাইনে কিভাবে একটি ভোটার আইডির জন্য আবেদন করবেন সে ভিডিওটি দেখে আসতে পারেন। 
ভিডিও লিংকঃ https://youtu.be/H_RlV42tEQU

৪র্থ ও শেষ ধাপঃ
ফিংগারিং ও ছবি দিয়ে আসার সময় নির্বাচন অফিস থেকে একটি স্লিপ দিয়ে দিবে। এরপর কিছুদিন অপেক্ষা করে সেই স্লিপ দিয়ে অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড বের করা যাবে।

প্রশ্ন ০১ঃ ছবিও ফিংগারিং দিয়ে আসার কত দিন পরে আইডি কার্ড পাব?
উত্তরঃ এটার নির্দিষ্ট কোন সীমা নেই। নির্বাচন অফিস থেকে ডাটা আপলোড দেয়ার ১ দিন পরেও আইডি কার্ড পাওয়ার প্রমাণ রয়েছে। সাধারণত ১ সপ্তাহ থেকে ১ মাস সময় লাগে। এটি আসলে নির্ভর করে উপজেলা থেকে কতো সময়ের মধ্যে ডাটা আপলোড দেয় এবং হেড অফিস থেকে এটি এপ্রুভ করা হয়। সার্ভার জটিলতায় এটি ৩ থেকে ৬ মাসও সময় লাগতে পারে।

প্রশ্নঃ ০২ঃ আমার বয়স ১৮ বছর হয়নি; আমি কি ভোটার হতে পারব?
উত্তরঃ হ্যা আপনার ১৮ বছর না হলেও ভোটার হতে পারবেন।

প্রশ্নঃ ০৩ঃ অনলাইন ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে আমি কি সকল ধরণের কাজ করতে পারব?
উত্তরঃ হ্যা আপনি সকল ধরণের কাজই করতে পারবেন।

(আপনাদের আরো কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।)
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url