একটি আনন্দের দিন গাজীপুর মুসাফির ইশকুলের | শিক্ষা বিডি
শিক্ষা বিডিঃ শিক্ষা বিডিঃ আজ আনন্দের একটি দিন কাটে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মুসাফির ইশকুলের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের। নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে আজ ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে শুক্রবার দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মুসাফির ইশকুল কর্তৃপক্ষ।
আজ শুক্রবার জয়দবেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক অসীম বিভাকরের সভাপতিত্বে ও মুসাফির ইশকুলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান হোসেনের সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন্ সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আনোয়ার করিম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাষা শহিদ কলেজের অধ্যক্ষ মুকুল কুমার মল্লিক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট আনোয়ার হোসেন, শহীদ ক্যাডেট একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শহিদুল ইসলাম শহিদ, সময় টিভির সাংবাদিক রাজিবুল হাসান, সময় টিভির ফটো সাংবাদিক জুনায়েদ রুবেল, আদর্শ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক হাবিবুল সিদ্দিকী, রাইজিং বিডির সাংবাদিক রেজাউল করিম রেজা।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শিশুরা দিনব্যাপী মেধা যাচাই, গ্রামীণ খেলা, নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি ও গজল নিয়ে মেতে ছিলো। শিশুদের মেধা বিকাশ ও মানুষিক মনোবল. উপস্থিত বুদ্ধিমত্তা বাড়ানোরা জ্ন্য শিশুদের নিয়ে এই আয়োজন করে মুসাফির ইশকুল। ২০১৬ সালে গড়ে উঠা ইশকুলটি ৬ষ্ঠ বর্ষে পদাপর্ণ করলো। প্রথমে ৫-৬ জন বাচ্চা নিয়ে শুরু করলেও এখন সংগঠনের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬১ জন।
সংগঠনটি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্কুলে ভর্তি থেকে শুরু করে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, স্কুল ড্রেস বিতরণ, নৈতিক শিক্ষা, খেলাধুলা সব নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করে। করোনা মহামারির সময়ে এই পরিবার গুলোতেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌছে দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনোয়ারুল করিম বলেন, আজ এই অনুষ্ঠানে এসে আমার মনে হচ্ছে না এই শিশুরা স্টেশনের আশেপাশে থাকে। তাদের আচার আচরণ, তাদের নৃত্য পরিবেশন, খেলাধুলায় বুঝা যাচ্ছে তারা কতটা মেধাবী। তাদের সঠিক পরিচর্যা করলে এই শিশুরাই হবে আগামীর বাংলাদেশ।
মুসাফির ইশকুলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান হোসেন বলেন, শিশুদের পড়ালেখা যদি সুনিশ্চিত হয়, শিশুরা যদি সঠিকভাবে বেড়ে উঠে, শিশুদের যদি আদর স্নেহ দেওয়া যায় তবে প্রতিটি শিশুই একদিন এক একটি আলোকবর্তিকা হবে। সবার আগে শিশুদের শিক্ষাকে প্রধান্য দিতে হবে। ঝরেপড়া শিশুদের আমরা পরম আদর সোহাগ, ভালোবাসা দিয়ে স্কুলগামী করি। আমাদের এই অগ্রযাত্রায় যদি আর্থিক সমস্যা না থাকতো তাহলে হয়তো আমাদের কার্যক্রম আরো সুন্দর করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যেত।
অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক অসীম বিভাকর বলেন, আমি মুসাফির ইশকুলের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই দেখে আসছি এই তরুণ ছেলেরা বাচ্চাদের জন্য কিভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পাঁচ বছর আগে এই শিশুদের যে ব্যবহার ছিলো আর আজ তাদের যে ব্যবহার ও প্রতিভা দেখলাম তা সত্যিই অবিশ্বাস্য। মুসাফির ইশকুল আরো অনেক দূর এগিয়ে যাক সেই প্রত্যাশা রইলো। শিক্ষার আলোয় আলোকিত হোক প্রতিটি শিশুর ঘর।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সাদিকুল ইসলাম, মাঈন উদ্দিন হিশাম, সজীব হোসেন, আহসান হাবীব,শাকিল হোসেন, শফিক, এস আর সিফাত, দেলোয়ার হোসেন দিপু, নিলয় আহমেদ, রিয়াজ আহমেদ, আবু সালেহ মুসা, রানা সরকার, আরিফ খান অদ্র, জুবায়ের, রিয়াজ, আজাদ হোসেন আনন্দ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইমতিয়াজ সরকার সিহাব, সিরাজুল।